সিরাজগঞ্জে রবি মৌসুমে চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে মরিচ চাষাবাদের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বারো মাসেই হাইব্রিড কাঁচা মরিচ চাষাবাদ করছে কৃষকেরা। বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জে এবার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৬’শ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষাবাদ করা হয়েছে। এ জেলার শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রবি মৌসূমের মরিচ চাষাবাদ করা হয়েছে।
তবে এসব উপজেলার চরাঞ্চলে হাইব্রিড মরিচের চাষাবাদ কৃষকেরা বারো মাসেই করে থাকে। প্রতিবছরের ন্যায় এ চাষাবাদে এবারো লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। রোপা আমন ধান কাটার পর বেশিরভাগ জমিতে মরিচ চাষাবাদ শুরু হয়। বিশেষ করে হাইব্রিড ও দেশীয় জাতের মরিচ অল্প সময়ের মধ্যেই উৎপাদন হয়ে থাকে এবং এ মরিচ স্থানীয় বাজার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। এবার সে সময়ে কাঁচা মরিচের মূল্য কৃষকেরা যথেষ্ট লাভবান হয়েছে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, ধানের তুলনায় মরিচ চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি। জমিতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে মরিচের বীজ বোপণ করা হয়।
বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি মরিচ গড়ে ৪০/৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ চাষাবাদে লাভ বেশি হওয়ায় আগ্রহী হয়ে পড়ে কৃষকেরা। ক্ষেত থেকে মরিচ তুলতে কৃষক কৃষাণীরা এথন ব্যস্ত এবং অনেক কৃষকই তাদের মরিচ ক্ষেত পাহাড়া দিচ্ছে। চরাঞ্চলে ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছ থেকে ভালো দামে এ কাঁচা মরিচ ক্রয় করে এবং এ মরিচ প্রতিদিনই ট্রাকযোগে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রির পাশাপাশি কৃষকেরা এ মরিচ রোদে শুকিয়েও ঘরে তুলছে।
তারা এ শুকনা মরিচও বেশি দামে বাজারে বিক্রি করবে। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আ. জা. ম. আহসান শহীদ সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, রবি মৌসূমের কাঁচা মরিচের চেয়ে বারো মাসেই হাইব্রিড কাঁচা মরিচের উৎপাদন বেশি। কৃষকেরা সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ মরিচ চাষাবাদ করে। এ মরিচের বাজার এখনও ভালো থাকায় কৃষকেরা খুশি। এ মরিচ সারাবছরই কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। যে কারণে এবার চরাঞ্চলসহ এ মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।